চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ বীজের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম হাড় ও দন্ত্য স্বাস্থ্য উন্নত করে, অন্যদিকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইডস চর্বি কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তের এই খারাপ চর্বি হৃদরোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ বীজের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরা রাখে।
পৃথিবীর পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। অ্যাজটেক জাতির লকজন মনে করত এটি তাদের শক্তি ও সাহস জোগাবে। তারা এটিকে সোনার চেয়েও মুল্যবান মনে করতো।
এতে রয়েছে ওমেগা-৩, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, ফসফরাস, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বো হাইড্রেট। পাশাপাশি এতে রয়েছে, ভিটামিন বি, থায়ামিন, নিয়াসিন আয়রন, দস্তা, ক্যাফিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম।
হালিম বীজ অন্ত্রের জন্য উপকারী- এই বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের পেট ব্যাথা দূর করতে খুবই উপকারী। হালিম বীজ ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। ফলে খাবার তৃপ্তিদায়ক হয়ে ওঠে।
হালিম বীজ অ্যানিমিয়া দূর করতে খুবই কার্যকরী। এটি লোহার উচ্চ মাত্রা লাল রক্ত কোষের উৎপাদনকে উৎসাহ দেয় এবং শরীরে হিমোগ্লোবিন এর স্তর বৃদ্ধি করে। ফলে অ্যানিমিয়া প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হালিম বীজ আ্যন্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই এটি শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা দূর করে- হালিম বীজ আন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ার জন্য এটি জ্বর সর্দি সহ শ্বাস প্রশ্বাস এর বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
তুলসীর পাতাই নয়, তুলসীর বীজও দারুণ উপকারী। তুলসী পাতার মতোই তুলসী বীজও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন- সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু জাতীয় সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। শুধু তা-ই নয়, পেশীতে টান পড়লেও এই বীজ খেলে আরাম পাওয়া যাবে।
তুলসীর বীজে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তুলসী বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধ করে। তুলসীর বীজ ব্যবহার করলে অনেক দিন তরুণ থাকতে পারবেন।
তুলসী বীজ মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এগুলো সেবন করলে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসীর বীজ মানসিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
তুলসী বীজে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন ইত্যাদির মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তুলসীর বীজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং পেটে গ্যাসের মতো সমস্যা কমে। তুলসীর বীজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, তোকমার দানা দেহের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল উৎপাদন করে থাকে। এছাড়াও রক্তে চর্বির পরিমাণ কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট সুস্থ রাখে। হাড় গঠনে সাহায্য করে।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর তোকমা। মূলত দেহের বিপাকক্রিয়া ধীর করে দেয় তোকমা। ফলে কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুুকোজে রূপান্তরের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এ কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস যাঁদের রয়েছে, তারা এটি নিয়মিত খেতে পারেন।
কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর তোকমা। সামান্য তোকমা অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর তা দুধে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। এটি হজমের সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে।
তোকমা এসিডিটি দূর করতেও কার্যকর। এটি পেটের এসিড নিয়ন্ত্রণ করে জ্বালাপোড়া দূর করে। তোকমার বীজ পানিতে পরিপূর্ণ থাকে, যা দেহের ক্ষতিকর পদার্থও দূর করতে সহায়ক।
ত্বকের নানা সমস্যায় তোকমা ব্যবহার করা যায়। এটি নানা চর্মরোগ নিরাময়ে কাজ করে। এটি একজিমা ও সোরিয়াসিস নিরাময়ে কার্যকর। সুস্থ চুলের জন্য এটি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
তোকমা বীজে রয়েছে ঠাণ্ডা প্রতিরোধী উপাদান। এটি আপনার দেহকে ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়তে সহায়তা করবে। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে চাইলে তাই নিয়মিত তোকমা খাওয়া যেতে পারে।